ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভায়বহ ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতরা সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন। আর গুরুতর আহতদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ।২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ৪১ জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাদেরকে হাসপাতাল থেকে সকল ওষুধ সরবরাহ করা হয়। আহতদের নামের তালিকা বুধবার (১৩ নভেম্বর) হাসপাতালের বিভিন্ন পয়েন্টে ঝুলিয়ে দেয়া হয়৷
তিনি জানান, আহতদের স্বজনরা হাসপাতালে এসে তাদের খোঁজ পায়৷ তাদেরকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায় । সকালে রেল মন্ত্রণালয়ের লোকজন এসে আহত একজন রোগীকে হাসপাতালে পায়। তখন সেই রোগীকে আর্থিক সহায়তা দেন তারা। বর্তমানে হাসপাতালে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত কেউ ভর্তি নেই।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানান, গুরুতর আহতদের মধ্যে ৬ জনকে ঢাকা সিএমএইচে, ৯ জনকে পঙ্গু ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের বেশির ভাগ বাড়ি সিলেট হওয়ায় অনেকে নিজ ইচ্ছায় ছাড়পত্র নিয়ে সিলেট মেডিকেলে চলে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে ও বুধবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে নিহত ও অঙ্গহানি হওয়া যাত্রীদের অঙ্গপতঙ্গ বস্তায় ভরে নিয়ে আসা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে। এর মধ্যে ছিল কারো শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হাত, কারো হাত-পায়ের আঙুল, কারো কান ও চামড়ার অংশ। পুঁতে ফেলার জন্য এগুলো আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
অন্যদিকে, মন্দবাগ রেল দুর্ঘটনাস্থলে আসছে উৎসুক মানুষ । যদিও দেখার তেমন কিছু আর বাকি নেই।রেললাইনের পাশে পড়ে রয়েছে দুর্ঘটনায় গুড়িয়ে যাওয়া ট্রেনের কোচের অংশ। এতে লেগে রয়েছে ট্রেনযাত্রীদের কাপড়ের ছেড়া অংশ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নারী, পুরুষ ও শিশুর পায়ের জুতা। রেলে পাটাতনে কিছু অংশে লেগে রয়েছে মানুষের রক্ত। এ যেন এক অন্যরকম পরিবেশ।
বিএনএনিউজ২৪.কম/সারোয়ার,আর করিম চৌধুরী,এস জি নবী, এহক।