চট্টগ্রাম : রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার মামলায় নির্বাচন কমিশনের দুই কর্মচারীর সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। সোমবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমীন এ আদেশ দিয়েছেন। দুজন হলেন-ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের প্রকল্পভিত্তিক কর্মচারী সাগর চৌধুরী ও সত্যসুন্দর দে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সিনিয়র সহকারি কমিশনার কাজী সাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল। আদালত সাতদিন মঞ্জুর করেছেন। একদিন আগে আত্মসমর্পণের পর তাদের কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত। সাগর ও সত্যসুন্দরসহ এ মামলায় ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন- নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের কর্মী শাহনূর মিয়া, অস্থায়ী কর্মী মোস্তফা ফারুক, মো.শাহীন, মো. জাহিদ হাসান এবং পাভেল বড়ুয়া, চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী মো. আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও অফিস সহায়ক নাজিম উদ্দিন এবং মীরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারি আনোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে রোহিঙ্গাদের এনআইডি পাইয়ে দেওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিন, জয়নালের বন্ধু বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়াকে আটক করে পুলিশে দেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। এ সময় জয়নালের হেফাজতে থাকা নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্সকৃত একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়। জয়নালের বিরুদ্ধে ওই ল্যাপটপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের এনআইডি দেওয়া হত বলে অভিযোগ করা হয়। ওই রাতেই নগরীর কোতোয়ালী থানায় ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদি হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাগর ও সত্যসুন্দরকেও আসামি করা হয়। এজাহারে উল্লেখ আছে, গ্রেফতার জয়নালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের মামলার আসামি করা হয়েছিল।
বিএনএনিউজ২৪.কম/এম এন আমিন,এসজিএন