অনৈতিক কাজের টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বর সেকশনের ভাড়া বাড়িতে খুন হয়েছেন গৃহকর্ত্রী রহিমা বেগম (৬০) ও তার গৃহকর্মী সুমি আক্তার (২০)। খুনের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে রমজান (২২) ও ইউসুফ (২৩) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মিরপুর-২ নম্বর সেকশনের ভাড়া বাড়িতে অনৈতিক ব্যবসা করে আসছিলেন গৃহকর্ত্রী রহিমা বেগম। তার এ কাজে সহযোগীতা করতেন রমজান ও ইউসুফ নামে দুই দালাল। এ ব্যবসার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দালাল রমজান ও ইউসুফের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল রহিমা বেগমের। রমজান ও ইউসুফের চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় মঙ্গলবার এ নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে প্রথমে গৃহকর্মী সুমিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে রমজান ও ইউসুফ। পরে একই কায়দায় রহিমা বেগমকে হত্যা করে পালিয়ে যায় তারা।
বুধবার সন্ধ্যায় লঞ্চে বরিশালে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে রমজান ও ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি পশ্চিম) একটি দল।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি-পশ্চিম) পল্লবী জোনের সিনিয়র এসি শাহাদাত হোসেন সুমা বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যাকান্ডের কারণের বিষয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে বুধবার নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শ্বাসরোধ করেই তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক কেএম মাইনুদ্দিন। এ জোড়া খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত রহিমা বেগমের মেয়ে রাশিদা বেগম মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
বিএনএনিউজ২৪.কম/ এসকেকে/ এইচ.এম।